নিচে উল্লেখিত এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ না করার কারণে ধীরে ধীরে আপনার মস্তিষ্ক বিকল হয়ে একসময় নিস্তেজ হয়ে পড়বে। তাই এখন থেকেই এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করে ফেলুন........
১| সকালে ব্রেকফাস্ট না নেওয়াঃ- স্বাস্থ্য সচেতনে পাশ্চাত্যের মানুষেরা হেভি ব্রেকফাস্ট করেন। কারন তারা জানেন, রাতে ঘুম দিয়ে সকালে ওঠার পর 'ব্রেকফাস্ট' নিতে কম বেশি দশ ঘন্টা সময় কেটে যায়। এই দীর্ঘ সময় উপোস থাকার ফলে রক্তে 'সুগার' বা শর্করার পরিমান কমে যায়। রক্তে সুগার কমে যাওয়ার অর্থ মস্তিষ্ক-কোষে পুষ্টির জোগান বিঘ্নিত হওয়া। শহুরে বাঙালিদের অনেকের চা বিস্কুট খেয়ে ব্রেকফাস্ট সারার অভ্যাস আছে, যেটা মস্তিষ্কের পক্ষে ক্ষতিকারক।
২| বেশি খাওয়াঃ- বেশি খেলে মানসিক শক্তি কমতে থাকে।
৩| ধূমপানঃ- অতি ধূমপান মস্তিষ্ক কোষকে সঙ্কুচিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম কারন। যা আলজাইমারস রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
৪| অতি মাত্রায় ব্লাডসুগারঃ ব্লাড সুগার দীর্ঘকাল ধরে বেশি থাকলে মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের ক্ষতি করে; স্নায়ুকোষে প্রোটিন ও পুষ্টিকর যৌগ পৌছাবার ক্ষেত্রে বড় বাধা ব্লাডসুগার।
৫| বায়ু দূষণঃ দূষিত বায়ুতে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়, ফলে এটার অভাবে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়।
৬| ঘুম কমঃ- ঘুম মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষগুলোকে বিশ্রাম দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে কম ঘুম হতে থাকলে মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষগুলো দ্রুত মরতে থাকে।
৭| ঘুমের সময় মাথ ঢেকে শোওয়াঃ- অক্সিজেনের অভাবে চাদরের ভিতরে ক্ষতিকর কার্বনড্রাই অক্সাইডের পরিমান বেড়ে যায়, যা মস্তিষ্কের ক্ষতির কারন।
৮| অসুস্থ অবস্থায় বেশি কাজঃ- এসময় স্বাভাবিক রকমের সক্রিয় থাকে না। ফলে জোর করে কাজ করলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। https://bit.ly/3cvQaAb
৯| অনেক রাতে ঘুম, অনেক বেলা করে উঠাঃ- রাত 9 টা থেকে রাত এগারোটায় শরীরের অপ্রয়োজনীয় "টক্সিন"কে "এন্টিবডি সিস্টেম" "ডি-টক্সিফিকেশন" এর কাজ করে। এই সময় রিলাক্স বা বিশ্রাম অবস্থায় থাকলে "ডি-টক্সিফিকশন" এর কাজ ভালোভাবে হওয়ার সুযোগ পায়। তাই রাত ১০ টার মধ্যে শুয়ে পড়ার অভ্যাস অত্যন্ত জরুরী। অবশ্য যকৃত ও মস্তিষ্ককে ঠিক রাখতে চাইলে।
১০| মস্তিষ্ককে অতি মাত্রায় কর্মহীন করে রাখাঃ- অলস মস্তিষ্ককে একেবারে কর্মহীন না করে, চিন্তাশীল কাজে সময় অতিবাহিত করতে হবে।
১১| খুব কম কথা বলাঃ- সব সময় একটানা জড় বস্তুর মত চুপচাপ থাকলে, স্নায়ুকোষ কাজ বিমুখ হয়ে পরে।
১২| মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করার অভাবঃ- কিভাব মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করা যায় সে উপায় বের করতে হবে; তাহলে স্নায়ুকোষকে অধিক মাত্রায় সচল রাখা সম্ভব।
#simple_hacks #ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যকেও জানার সুযোগ করে দিন । ধন্যবাদ
আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন
https://Facebook.com/AmarBangla724
Comments
Post a Comment
Thanks for your comment. We appreciate it