টাকার উপর "চাহিবামাত্র ইহার বাহককে..... টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে" এই লেখার কারণ।
- আমাদের দেশে মোট ১০ টি নোট বা কয়েন প্রচলিত রয়েছে। ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার এই ৭ টি নোটকে বলা হয় ব্যাংক নোট। অন্যদিকে ১, ২ ও ৫ টাকার নোট এবং কয়েনকে বলা হয় সরকারি নোট।
উল্লেখ্য যে, ৫ টাকার নোটকে ২০১৫ সালে সরকারি নোট হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তার পূর্বে এটিও ব্যাংক নোট ছিল।
সরকারি নোট মানেই জনগণের টাকা। অর্থাৎ ১, ২ ও ৫ টাকার নোটের উপর জনগণের অধিকার রয়েছে।
ক্রমাগত আমাদের দেশের টাকার মূল্য কমছে। তাই জনগণের কষ্ট লাঘব করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সমপরিমাণ টাকার বিনিময়ে বাকি নোটগুলো ছাপায় যেগুলোকে বিল অব এক্সচেঞ্জ বলে। অর্থাৎ ১, ২ ও ৫ টাকার নোট ব্যতীত বাকি নোটগুলো টাকা নয়, এগুলো কাগজ। বাংলাদেশ ব্যাংক এগুলোকে টাকার মর্যাদা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকার বিনিময়ে নোট ছাপায়।
তাই এটা বাংলাদেশের জনগণের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায় (Liabilities)। এখন কেউ যদি কোন কারনে ব্যাংক নোটের (১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০, ১০০০ টাকার নোট) উপর আস্থা রাখতে না পারে, তবে সে ঐ নোটটা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাউন্টারে জমা দিলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে সমপরিমাণ ১, ২ ও ৫ টাকার নোট দিবে।
উদাহরণ, ধরি রাশেদ সাহেব তার কাছে থাকা ৫০০ টাকার একটা নোটের উপর আস্থা রাখতে পারছে না। এখন সে যদি ঐ নোটটা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাউন্টারে জমা দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক সাথে সাথে অর্থাৎ রাশেদ সাহেব চাহিবামাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে সমপরিমাণ ১, ২ বা ৫ টাকার নোট দিতে বাধ্য থাকিবে।
উল্লেখ্য যে, সরকারি নোটে অর্থ সচিব এবং ব্যাংক নোটে গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে। ২০১৫ সালে ৫ টাকার নোটকে সরকারি নোট করা হয়েছে। তাই ২০১৫ সালের পর যেসব ৫ টাকার নোট বাজারে এসেছে (মূলত ২০১৭ সালে ৫ টাকার সরকারি নোট বাজারে এসেছে) সেখানে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে এবং উপরে "গণপ্রজাতন্ত্রী
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বাংলাদেশে ৯৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ নোট এবং কয়েন রয়েছে।
লিখেছেন : হৃদয় মজুমদার, অর্থনীতি বিভাগ,
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
Comments
Post a Comment
Thanks for your comment. We appreciate it